মানবীয় জ্ঞানের সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা

‌‘কেন’ প্রশ্নটি আমরা তুলতে পারি, কিন্তু তত্ত্ব বা অন্টলজি হচ্ছে, সব ‌‘কেন’র উত্তর আমরা পাই না, বা পেলেও কনসিভ করতে পারি না; আমাদের সত্তা বা অস্তিত্বগত সীমাবদ্ধতার কারণে।

যেসর ‌‘কেন’র উত্তর আমরা পাই না, সেগুলো হতে যেগুলো কোনো না কোনোভাবে আমাদের কাছে এপিয়ার্ড, সেগুলোকে আমরা এজ সাচ্ছ গ্রহণ করে নিবো ফান্ডামেন্টাল হিসেবে; আর যেসব ‌‘কেন’ অজ্ঞেয় সেগুলোর ব্যাপারে আমাদের একমাত্র যুক্তিসংগত পজিশন হচ্ছে নিরপেক্ষ বা withhold পজিশন গ্রহণ করা।

ফল কথা হলো, আমরা জানি। অথচ, আমরা সবকিছু জানি না। তো, সব কিছু জানার জন্য এই তৃষ্ণা আমাদের প্ররোচিত করে ঈশ্বরের মতো কোনা সর্বজ্ঞ সত্তাকে খুঁজে নিতে, যাতে করে তাঁর কাছ হতে আমরা সেসব কিছু জানতে পারি, যা আমরা নিজে নিজে সঠিকভাবে জানি না।

আমাদের এই জ্ঞানগত ক্ষমতাটা অদ্ভূত। আমরা আমাদের সীমাবদ্ধতা বুঝতে পারি।

এই মানবীয় জ্ঞানগত সীমাবদ্ধতাকে অস্বীকার করতে চাওয়া হলো অডাসিটি বা ঔদ্ধত্য।

লেখাটির ফেইসবুক লিংক

আপনার মন্তব্য/প্রশ্ন লিখুন

ইমেইল অ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত ঘরগুলো পূরণ করা আবশ্যক।

*